ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

রামুতে কমেছে পানি, বেড়েছে দূর্ভোগ ॥ সড়ক ভেঙ্গে তছনচ

news road 26.07.17সোয়েব সাঈদ, রামু :::

রামু উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও বেড়েছে জনদূর্ভোগ। পানিতে একাকার হওয়া শতশত বসত ঘরে এখনো জ্বলছে না চুলা। এসব এলাকায় খাবার সংকটও বিরাজ করছে। অন্যদিকে বন্যায় প্রধান সড়ক সহ গ্রামীন সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি কমার সাথে সাথে ভেসে উঠছে সড়কের বিশাল ক্ষত।

গতকাল বুধবার (২৬ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, রাজারকুল ইউনিয়নের শর্মা পাড়ায় দুদিনে বাঁকখালী নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে অন্তত ১৫টি বসত বাড়ি। বসতি হারিয়ে ওইসব পরিবারের সদস্যরা বর্তমান চরম মানবেতর সময় পার করছে। এমন দূর্দিনে তাদের পাশে কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ায়নি বলেও অভিযোগ করে ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের সদস্যরা।

রামুর অফিসেরচর এলাকায় আলহাজ্ব ফজল আম্বিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ফের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে রামু-মরিচ্যা সড়কের একাংশ। সড়কের ওই অংশে বড় বড় গর্ত হওয়ায় সেখানে পানি জমি গিয়ে যান চলাচল ঝূঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজারকুল-চেইন্দা সড়কের সিকদার পাড়া অংশে সড়কে বিশাল ভাঙ্গনের ফলে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একারনে হাজার হাজার মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে।

কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় রামু উপজেলার ১১ ইউনিয়নে অসংখ্য গ্রামীন সড়ক তছনছ হয়ে গেছে।

এসব ইউনিয়নে গতকাল বুধবারও হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি ছিলো। বাঁকখালী নদীতে পানি কমলেও নিচু এলাকায় এখনো পানি নামেনি। ফলে এসব এলাকায় জলাবদ্ধতার কারনে মানুষের চলাচল ও স্বাভাবিক কর্মকান্ড বিঘিœত হচ্ছে।

এছাড়া রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের আবু বকর বাপের পাড়া, পূর্ব রাজারকুল, ফতেখাঁরকুল ও কাউয়ারখোপ ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে।

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল জানিয়েছেন, ১৫দিনের ব্যবধানে আবারো বন্যায় রামু-কক্সবাজারের অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অসংখ্য বসতবাড়ি ও সড়ক এখনো পানির নিচে। দরিদ্র মানুষের দূর্ভোগ লাঘবে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রান ও নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ত্রাণ দেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও অন্যান্য স্থাপনা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সহায়তার হাত বাড়ানোর জন্য বিত্তবান ব্যক্তিসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত: